অস্ট্রেলিয়ায় দুই ধরনের প্যারেন্ট ভিসা রয়েছে। এগুলো হলো: নন-কন্ট্রিবিউটরি এবং কন্ট্রিবিউটরি। এই দু’টির মধ্যে মূল পার্থক্য হলো খরচ এবং অপেক্ষার সময়কাল।
১ জুলাই ২০১৮ থেকে প্যারেন্ট ভিসায় দুটি পরিবর্তন আনা হয়েছে।
এখন থেকে প্যারেন্ট ভিসা আবেদনগুলো পার্থে পাঠানো হবে
জুলাই মাস থেকে প্যারেন্ট ভিসার সমস্ত আবেদন অবশ্যই সরাসরি পার্থ ভিসা অ্যান্ড সিটিজেনশিপ অফিসে ডাকযোগে কিংবা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠাতে হবে।
ক্রাক্স মাইগ্রেশনের ইমিগ্রেশন ল’ইয়ার এবং মাইগ্রেশন এজেন্ট ক্রিস অ্যান বলেন, “এগুলো যেহেতু পার্থে পাঠাতে হবে তাই আমাদেরকে এগুলো এক্সপ্রেস সার্ভিসের মাধ্যমে কিংবা ট্রাকিং নম্বর সম্বলিত পোস্টাল সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠাতে হবে। এতে করে জানা যাবে যে, ডিপার্টমেন্ট ডকুমেন্টগুলো পেয়েছে কিনা।”
”ডিপার্টমেন্ট ভিসা-আবেদন সংক্রান্ত কাগজপত্র পেয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করাটা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ।”

Source: Getty Images
ফিজ বাড়ছে
এ মাসের শুরু থেকে আবেদন-ফিজ মোটামুটিভাবে শতকরা দুই ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সাবক্লাস ১৭৩ টেম্পোরারি কন্ট্রিবিউটরি প্যারেন্ট ভিসার জন্য এখন লাগছে ২,৫৯৫ অস্ট্রেলিয়ান ডলার, যা আগে ছিল ২,৫৪০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার।
সাবক্লাস ১৪৩ পার্মানেন্ট কন্ট্রিবিউটরি প্যারেন্ট ভিসা, সাবক্লাস ৮৮৪ টেম্পোরারি এজড প্যারেন্ট কন্ট্রিবিউটরি ভিসা এবং সাবক্লাস ৮৬৪ পার্মানেন্ট এজড প্যারেন্ট কন্ট্রিবিউটরি ভিসার জন্য এখন লাগছে ৩,৮৫৫ অস্ট্রেলিয়ান ডলার। এক্ষেত্রে আগের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে ৮৫ ডলার।
প্যারেন্ট ভিসা পেতে এখন বেশি সময় লাগছে
প্যারেন্ট ভিসা প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে এখন লম্বা সময় লাগছে। মাইগ্রেশন এজেন্ট অ্যান বলেন,
”গত বছরে আমরা যখন ডিপার্টমেন্টের আনুমাণিক প্রসেসিং টাইম দেখেছিলাম, সেখানে বলা হয়েছিল কম-বেশি ৩ বছর লাগার কথা। এখন বলা হচ্ছে সাড়ে চার বছর লাগবে। এটি অবশ্য কন্ট্রিবিউটরি প্যারেন্ট ভিসার জন্য। এক্ষেত্রে যত লম্বা সময় লাগবে, অবধারিতভাবেই প্যারেন্টদের বয়সও বাড়তে থাকবে এবং বয়সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তাদের স্বাস্থ্যও খারাপ হতে থাকবে, যা কিনা প্যারেন্ট ভিসা পাওয়ার সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করবে।”
২০১৭-১৮ মাইগ্রেশন প্রোগ্রামে সরকার মাত্র ১,৫০০ টি নন-কন্ট্রিবিউটরি প্যারেন্ট ভিসা এবং ৭,৭১৫ টি কন্ট্রিবিউটরি প্যারেন্ট ভিসা বরাদ্দ করেছে। অ্যান মনে করেন, আবেদনকারীদের উচিত হবে যত বেশি সম্ভব তথ্য ও কাগজপত্র জমা দেওয়া, যেন তাদের অপেক্ষার সময় দীর্ঘায়িত না হয়। কারণ, সাপোর্টিং এভিডেন্সসহ আবেদনপত্রগুলো তুলনামূলকভাবে দ্রুত প্রক্রিয়াকরণ করা হয়ে থাকে।

Source: Pixabay
স্পন্সরদের জন্য এখন আর ইনকাম থ্রেশহোল্ডে কোনো পরিবর্তন করা হয় নি
আগে যে-রকম বলা হয়েছিল, সেভাবে এখন আর স্পন্সরদের ইনকাম থ্রেশহোল্ড দ্বিগুণ করছে না সরকার। কিন্তু, অ্যান বলেন, যেসব প্যারেন্ট ভিসা আবেদনের জন্য উপযুক্ত, তাদের উচিত অচিরেই আবেদন করা। কারণ, সরকার হয়তো নিয়ম-কানুন কঠিন করতে পারে।
”বর্তমান সরকার বিভিন্ন ভিসার নিয়ম-কানুন কঠিন করে দিচ্ছে। বড়সড় পরিবর্তনগুলো হচ্ছে ওয়ার্ক ভিসাগুলোতে। সম্প্রতি, যেমন জেনারেল স্কিলড মাইগ্রেশনের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৬০ পয়েন্ট থেকে বৃদ্ধি করে ৬৫ পয়েন্ট করা হয়েছে। এসব পরিবর্তন দেখে মনে হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ায় মাইগ্রেশন করাটা কঠিনতর করা হচ্ছে”, বলেন অ্যান।
If you need help in your language, contact the Translating and Interpreting Service by calling 13 14 50.