এ বছর অস্ট্রেলিয়ার বেশ কিছু স্থানে দুর্গাপূজার ব্যাপক আয়োজনের খবর পাওয়া গেছে। তবে মেলবোর্নের পশ্চিমে ব্যাকাশ মার্শের ডার্লি শহরতলিতে কৃষ্ণাকুটির পরিবারের আয়োজনে দুর্গাপূজার অনুষ্ঠানের সবসময়েই একটি আলাদা মাত্রা থাকে।
অনুষ্ঠানের আয়োজন সম্পর্কে এই পরিবারের পক্ষ থেকে সানি সঞ্জয় বলেন, "আমাদের বাড়িতে দুর্গাপূজার আয়োজন অস্ট্রেলিয়ায় একটি অনন্য উদযাপন, যা ঐতিহ্যবাহী আচার ও রীতিনীতি মেনে পালিত হয়, যা হিন্দু ঐতিহ্যের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক চর্চ্চাকে স্মরণ করিয়ে দেয়।"
পূজামণ্ডপ ঘুরে মানুষজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ব্যাকাশ মার্শের মনোরম ও নিরিবিলি এই শহরতলিটি দুর্গাপূজার এই সময়ে ঢাক আর কাসার বাদ্যে যেন রাতভর জেগে থাকে।
এই অঞ্চলের অন্যতম জাঁকজমকপূর্ণ এই পূজায় দর্শনার্থীদের সেই উচ্ছ্বাসটা টের পাওয়া যায়।
এই অনুষ্ঠানে কৃষ্ণাকুটির পরিবারকে সহায়তা করতে তাদের পারিবারিক বন্ধুরাও সহযোগিতা করেন।
পারিবারিক বন্ধু স্বাগত চৌধুরী বলেন, "পূজার সময় আমরা সাধারণত 'প্যান্ডেল হপিং' বা এক প্যান্ডেল থেকে আরেকটিতে যাই, এতে পূজার প্রকৃত গুরুত্ব থাকে না, কিন্তু এখানে একটা জায়গায় থেকে, কাজে সাহায্য করে, সুখদুঃখের কথা শেয়ার করে, সবাই একসাথে মিলেই এই উৎসবটা পালন করি।"
গত শনিবার ১২ অক্টোবর ছিল শুভ বিজয়া, সন্ধ্যা সাতটা থেকেই ভিড় বাড়তে থেকে।
অনুষ্ঠানে বড়দের পাশাপাশি শিশুদের অসাধারণ পরিবেশনা, গান-নাচসহ নানা সাংস্কৃতিক আয়োজনে পুরো পরিবেশ ছিল জমজমাট।
অনুষ্ঠানে গান ও নৃত্য পরিবেশন করেছেন রুমা দে।
তার অনুভূতি জানিয়ে মিজ রুমা বলেন, "কৃষ্ণা কুটির পরিবার এই পূজা উদযাপন করতে বাংলাদেশ থেকে ব্রাহ্মন-পুরোহিতদের অমন্ত্রন করে নিয়ে আসেন এবং তিথি-নক্ষত্র নিয়ম মেনে এই পূজাটি করা হয়।"
দুর্গাপূজা উপলক্ষে আয়োজিত মেলায় হরেক রকমের মিষ্টি এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে রাতের খাবার পরিবেশন করা হয়।
সানি সঞ্জয় বলেন, " শুরু থেকে অদ্যাবধি আমাদের দুর্গাপূজা একটি প্রাণবন্ত সমাবেশে পরিণত হয়েছে। এই পূজার আয়োজন সকল ধর্ম বা সম্প্রদায়ের বাধা অতিক্রম করে, এক আনন্দদায়ক উত্সবে পরিণত হয় যা সর্বস্তরের মানুষকে একত্রিত করে।
"এটি সবসময়ই একটি সাংস্কৃতিক বিনিময়, ঐক্য এবং উৎসবের একটি সুন্দর উপলক্ষ হয়ে উঠেছে এবং আমরা চেষ্টা করব এই ঐতিহ্য সবসময় ধরে রাখতে এবং আগামী প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে,” বলেন মিঃ সঞ্জয়।
সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারে ক্লিক করুন।
এসবিএস বাংলা এখন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত দক্ষিণ এশীয় সকল জনগোষ্ঠীর জন্য এসবিএস সাউথ এশিয়ান চ্যানেলের অংশ।
এসবিএস বাংলা লাইভ শুনুন প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় এসবিএস সাউথ এশিয়ান-এ, ডিজিটাল রেডিওতে, কিংবা, আপনার টেলিভিশনের ৩০৫ নম্বর চ্যানেলে। এছাড়া, এসবিএস অডিও অ্যাপ-এ কিংবা আমাদের ওয়েবসাইটে। ভিজিট করুন www.sbs.com.au/bangla
ইউটিউবেও পাবেন। ইউটিউবে সাবসক্রাইব করুন এসবিএস সাউথ এশিয়ান চ্যানেল। উপভোগ করুন দক্ষিণ এশীয় ১০টি ভাষায় নানা অনুষ্ঠান। আরও রয়েছে ইংরেজি ভাষায় এসবিএস স্পাইস।