“সোশাল মিডিয়া নেতিবাচক তুলনা বাড়ায়”

Social media apps displayed on a mobile phone.

Social media apps displayed on a mobile phone. Source: AAP Image/Yui Mok/PA Wire

দরকারি কথা-বার্তা, যোগাযোগ রক্ষা করা ছাড়াও অনলাইনে সামাজিক-যোগাযোগ-মাধ্যমে এবং বিভিন্ন গেম খেলার মাধ্যমে সময় কাটাতে ব্যবহৃত হচ্ছে মোবাইল ফোন ও অন্যান্য নানা মোবাইল ডিভাইস। বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা ছাড়াও ও মানসিক স্বাস্থ্য এবং সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে মোবাইল ফোন, আই-প্যাড, ট্যাব ইত্যাদির কুপ্রভাব নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। মানসিক স্বাস্থ্য এবং পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে এসব ডিভাইসের কী ধরনের প্রভাব পড়ে তা নিয়ে এসবিএস বাংলার সঙ্গে কথা বলেছেন মনঃচিকিৎসক, লেখক, টিভি-ব্যক্তিত্ব এবং সাবেক কাউন্সিলর ডা. তানভীর আহমেদ।


উল্লেখযোগ্য দিকগুলো

  • যে-কোনো নতুন প্রযুক্তির ভাল-মন্দ দুটো দিকই আছে।
  • কম-বয়সীদের পুরো জীবনের অনেকটাই ফোনের ওপরে।
  • সোশাল মিডিয়া নেতিবাচক তুলনা বাড়ায়। অন্যদের কী হচ্ছে, কে কেমন জীবন কাটাচ্ছে, ইত্যাদি। এক্ষেত্রে টিনেজাররা সবচেয়ে বেশি অসহায়।

মনঃচিকিৎসক ডাক্তার তানভীর আহমেদ বলেন, “কম-বয়সীদের এখন পুরো জীবন অনেকটাই ফোনের ওপরে। ওদের সামাজিক জীবনও অনেকটাই ফোনের ওপরে।"
মনঃচিকিৎসক ডাক্তার তানভীর আহমেদ বলেন, “কম-বয়সীদের এখন পুরো জীবন অনেকটাই ফোনের ওপরে। ওদের সামাজিক জীবনও অনেকটাই ফোনের ওপরে।" Source: Getty Images/ImagesBazaar
মোবাইল ফোন, ট্যাব, আইপ্যাড ইত্যাদির ব্যবহার কি মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরে কোনো প্রভাব ফেলে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে মনঃচিকিৎসক ডাক্তার তানভীর আহমেদ বলেন,

“যে-কোনো নতুন প্রযুক্তির ভাল-মন্দ দুটো দিকই আছে।”

“ফোনের ঝামেলা হলো, হাতের সাথে লেগে আছে। এ কারণে, এটা থেকে তাৎক্ষণিক মজা পাওয়া যায়। যেমন, ফেসবুকে দেখলাম, একটা ছবি দেখলাম, একটা লাইক হলো, সঙ্গে সঙ্গে মজা পাওয়া যায়। এ কারণে এটি একদম নেশার মতো।”

মোবাইল ফোনের উপকারী দিকই বেশি বলে তিনি মনে করেন। তবে, এর নেতিবাচক দিকগুলো সম্পর্কে তিনি বলেন,

“কম-বয়সীদের এখন পুরো জীবন অনেকটাই ফোনের ওপরে। ওদের সামাজিক জীবনও অনেকটাই ফোনের ওপরে। সবাই মেসেজ পাঠাচ্ছে, ইউটিউব দেখছে, সব বিনোদন [উপভোগ করছে], প্রায় পুরো জীবন ফোনে।”
তিনি আরও বলেন,

“এর নেতিবাচক প্রভাব হলো, অনেকটা (মুখোমুখি) আলোচনাই হচ্ছে না। চোখে দেখা, মানে সামনা-সামনি দেখা-সাক্ষাৎ অনেক কমে যাচ্ছে টিনেজারদের মাঝে।”

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, যেমন, ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে মোবাইল ফোন ও অন্যান্য ডিভাইস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সোশাল মিডিয়ার নেতিবাচক দিক সম্পর্কে বলতে গিয়ে ডাক্তার তানভীর আহমেদ বলেন,

“সোশাল মিডিয়া কমপ্যারিজন বাড়ায়।”

“সোশাল মিডিয়া নেতিবাচক তুলনা বাড়ায়। অন্যদের কী হচ্ছে, কে কেমন জীবন কাটাচ্ছে, ইত্যাদি।”

“এই নেগেটিভ কমপ্যারিজনের ক্ষেত্রে টিনেজাররা সবচেয়ে বেশি অসহায়।”

টিনেজাররা সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে দক্ষ না হলে তখন তারা এসব ডিভাইসের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বেশি সময় দিতে থাকে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

পরিশেষে, সন্তানদের ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাবা-মায়েরা যেন নজর রাখেন, সে বিষয়টির প্রতি জোর দেন তিনি।
মনঃচিকিৎসক, লেখক, টিভি-ব্যক্তিত্ব এবং সাবেক কাউন্সিলর ডা. তানভীর আহমেদ।
মনঃচিকিৎসক, লেখক, টিভি-ব্যক্তিত্ব এবং সাবেক কাউন্সিলর ডা. তানভীর আহমেদ। Source: Dr Tanveer Ahmed
মনঃচিকিৎসক ডা. তানভীর আহমেদের সাক্ষাৎকারটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন। 

Follow SBS Bangla on FACEBOOK.

Share
Follow SBS Bangla

Download our apps
SBS Audio
SBS On Demand

Listen to our podcasts
Independent news and stories connecting you to life in Australia and Bangla-speaking Australians.
Ease into the English language and Australian culture. We make learning English convenient, fun and practical.
Get the latest with our exclusive in-language podcasts on your favourite podcast apps.

Watch on SBS
SBS Bangla News

SBS Bangla News

Watch it onDemand