কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীতে বৃত্তিপ্রাপ্ত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা ভাল আছেন

Students walking at a university

Students walking at a university. Source: Getty Images/Peter Cade

কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীর প্রভাবে নানা রকম সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশ থেকে আসা শিক্ষার্থীরাও এর ব্যতিক্রম নন। তবে, স্কলারশিপ নিয়ে আসা শিক্ষার্থীরা তুলনামূলকভাবে ভাল আছেন।


হাইলাইটস

  • আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতিতে বছরে প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার অবদান রাখে।
  • করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীতে অর্থনৈতিক সংগ্রামে লিপ্ত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা।

মেলবোর্নে RMIT বিশ্ববিদ্যালয়ে ইলেক্ট্রিকাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পিএইচডি করছেন সুমাইয়া কবির।

পিএইচডি প্রোগ্রামে ফুল স্কলারশিপ নিয়ে বাংলাদেশ থেকে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় এসেছেন।

কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা যেখানে আর্থিক অনটনে ও সংগ্রামে লিপ্ত, সেখানে স্কলারশিপ থাকার কারণে তিনি তেমন একটা সমস্যায় পড়েন নি।
“যেহেতু আমি স্কলারশিপ নিয়ে এসেছি … যে ছয় মাস ভার্সিটি বন্ধ ছিল, স্কলারশিপ পুরোপুরি কন্টিনিউ করা হয়েছে”, বলেন তিনি।

মেলবোর্নে RMIT বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি গবেষণা করছেন সানজিদা আফরিন। ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড টেলি কমিউনিকেশন্স ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে তিনি গবেষণা করছেন। তিনিও বাংলাদেশ থেকে এসেছেন।
বিশেষ করে যারা মাস্টার্স বাই কোর্স-ওয়ার্ক বা ব্যাচেলর ডিগ্রির জন্য এসেছেন, স্কলারশিপ ছাড়া, তাদের অনেককেই দেখেছি যে, তারা কাজ হারিয়েছেন বা তাদের আওয়ার কমে গেছে।
কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীর প্রভাব সম্পর্কে তিনি বলেন,

“আমাদের স্কলারশিপ চলছে। স্কলারশিপ সংক্রান্ত আমাদের সমস্যা নেই। কিন্তু, দীর্ঘদিন লকডাউনের প্রভাবে, আসলে আমি নিজেই লকডাউনের শেষের দিকে বেশ খানিকটা অসুস্থ হয়ে পড়ি। এছাড়া, বেশ কিছু দিন আমাদের ল্যাবরেটরি ওয়ার্ক বন্ধ ছিল। সে কারণে অনেক দিন ল্যাবে কাজ করতে পারি নি। সেক্ষেত্রে আমি কিছুটা আমার কাজের ক্ষেত্রে পিছিয়ে গিয়েছি।”

কোভিড-১৯ এর ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দায় বহু আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী আর্থিকভাবে সংগ্রাম করছেন। এ সম্পর্কে সুমাইয়া কবির বলেন,

“বিশেষ করে যারা মাস্টার্স বাই কোর্স-ওয়ার্ক বা ব্যাচেলর ডিগ্রির জন্য এসেছেন, স্কলারশিপ ছাড়া, তাদের অনেককেই দেখেছি যে, তারা কাজ হারিয়েছেন বা তাদের আওয়ার কমে গেছে।”

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা সেন্টারলিংকের সহায়তা পান না। ছেড়ে আসা নিজের দেশ থেকেও এই মহামারীর সময়টিতে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে টাকা পাঠানো সম্ভব হয় না। তাহলে তাদের সহায়তায় কারা এগিয়ে আসেন? সুমাইয়া কবির বলেন,

“মেলবোর্নে আমি যেটা দেখেছি, আমি অন্য স্টেটগুলোর কথা জানি না। বিশেষ করে আমাদের RMIT ইউনিভার্সিটিতে, এককালীন কিছু হেল্পের ব্যবস্থা ছিল, যারা আরকি কোভিড-১৯ নিয়ে কষ্টে পড়েছে তাদের জন্য।”

“আর, বাংলা কমিউনিটির পক্ষ থেকে ছোট ছোট পরিসরে স্টুডেন্টদেরকে সহায়তা করা হয়েছে বলে আমি জানি।”
Sumaiya Kabir
মেলবোর্নে RMIT বিশ্ববিদ্যালয়ে ইলেক্ট্রিকাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পিএইচডি করছেন সুমাইয়া কবির। Source: Sumaiya Kabir
অস্ট্রেলিয়ায় স্কলারশিপের জন্য কীভাবে আবেদন করতে হবে সেটা নিয়েও কথা বলেছেন সুমাইয়া কবির ও সানজিদা আফরিন। বিস্তারিত শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।

Follow SBS Bangla on FACEBOOK.

Share
Follow SBS Bangla

Download our apps
SBS Audio
SBS On Demand

Listen to our podcasts
Independent news and stories connecting you to life in Australia and Bangla-speaking Australians.
Ease into the English language and Australian culture. We make learning English convenient, fun and practical.
Get the latest with our exclusive in-language podcasts on your favourite podcast apps.

Watch on SBS
SBS Bangla News

SBS Bangla News

Watch it onDemand
কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীতে বৃত্তিপ্রাপ্ত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা ভাল আছেন | SBS Bangla